র‌্যাবেপ্রাজল (Rabeprazole)


নির্দেশনাঃ ডিওডেনাল আলসার এবং ইরোসিভ অথবা আলসারেটিভ গ্যাসট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এর স্বল্পকালীন চিকিৎসার জন্য। গ্যাসট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্সডিজিজ (GERD) এর উপসর্গ প্রশমনে এবং পূনরায় আক্রান্ত হওয়ার হার নিরুপনে নির্দেশিত। GERD জনিত দিবা ও রাত্রিকালীন বুকজ্বালা এবং অন্যান্য উপসর্গ উপশমের জন্য নির্দেশিত। অত্যাধিক গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ জনিত জটিলতা যেমন-জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম দমনে নির্দেশিত। হেলিকোব্যাকটর পাইলরি দমনে ক্লারিথ্রোমাইসিন ও এমোক্সিসিলিনের সাথে নির্দেশিত।


মাত্রা ও সেবনবিধিঃ
ইরোসিভ অথবা আলসারেটিভ গ্যাসট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) দমনে: প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট প্রতি দিন একটি করে ৪-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত। ৮ সপ্তাহ চিকিৎসায় উপসর্গ প্রশমিত না হলে আরো অতিরিক্ত ৮ সপ্তাহ চিকিৎসা নিতে  হবে।
ইরোসিভ অথবা আলসারেটিভ গ্যাসট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD)-এর মেনটেনেন্স: প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট প্রতি দিন একটি করে। গ্যাসট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (এঊজউ)- এর উপসর্গ প্রশমনে: প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট প্রতি দিন একটি করে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। উপসর্গ প্রশমিত না হলে আরো অতিরিক্ত চিকিৎসা দিতে হবে।
ডিওডেনাল আলসার দমনে: প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে ২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট সকালের খাবারের পর প্রতিদিন একটি করে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। বেশির ভাগ রোগী এই সময়ের মধ্যে ভাল হয়ে যায়। কিছু পরিমাণ রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
হেলিকোব্যাকটর পাইলরি জনিত ডিওডেনাল আলসার দমনে-

১) র‌্যাবেপ্রাজল ২০ মি.গ্রা.
প্রতিদিন ২ বার করে ৭ দিন ৷
২) এমোক্সিসিলিন ১০০ মি.গ্রা.
প্রতিদিন ২ বার করে ৭ দিন ৷
৩) ক্লারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা.
প্রতিদিন ২ বার করে ৭ দিন ৷

উপরোক্ত তিনটি ওষুধ প্রতিদিন সকালের খাবারের পরে একবার ও সন্ধ্যায় খাবারের পরে একবার করে প্রতিদিন দুইবার খেতে হবে। রোগীদের গুরুত্ব সহকারে পূর্ন ৭ দিন চিকিৎসা নিতে হবে।

অত্যাধিক গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ জনিত জোলিঞ্জার- এলিসন সিনড্রোম এর চিকিৎসায়: র‌্যাবেপ্রাজল সোডিয়াম এর সেবনমাত্রা এসিড নিঃসরণের মাত্রার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে দিনে ৬০ মি.গ্রা. সেবনমাত্রায় শুরু করতে হবে। রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবনমাত্রা নির্ণয় করতে হবে এবং ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত সেবন করতে হবে। কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে বিভক্ত মাত্রায় সেবন করতে হতে পারে। জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় র‌্যাবেপ্রাজল সোডিয়াম ১ বছর পর্যন্ত নিয়মিত  সেবন করা যেতে পারে।

প্রতিনির্দেশনাঃ র‌্যাবেপ্রাজল বা এই প্রস্তুতির যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ র‌্যাবেপ্রাজল সোডিয়াম কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, পাকস্থলীর পীড়া, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, মুখগহ্বরের শুষ্কতা, ক্ষুধা বৃদ্ধি বা কমে যাওয়া, মাংসপেশীর ব্যথা, ঘুম ঘুমভাব এবং ঝিমানো অনুভূত হতে পারে।

মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারঃ র‌্যাবেপ্রাজল মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। র‌্যাবেপ্রাজলের জন্য কোন নির্দিষ্ট এন্টিডোট নির্ধারিত হয়নি। র‌্যাবেপ্রাজল অতি মাত্রায়  প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং সহজে ডায়ালাইজ হয় না। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গ প্রশমনজনিত চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সরবরাহঃ ট্যাবলেট ৷


Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...