প্যারাসিটামল (Paracetamol)


নির্দেশনাঃ জ্বর, সর্দিজ্বর এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা। মাথাব্যথা, দাঁত ব্যথা, কানের ব্যথা, শরীর ব্যথা, স্নায়ু প্রদাহ জনিত ব্যথা, ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা এবং মচকে যাওয়ার ব্যথা। অন্ত্রে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, প্রসব-পরবর্তী ব্যথা, ক্যান্সার জনিত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, প্রদাহ জনিত ব্যথা ও শিশুদের টিকা দেবার পরের জ্বর ও ব্যথা। বাত ও অষ্টিওআর্থ্রাইটিস এর দরুণ সৃষ্ট ব্যথা ও অস্থিসংযোগ সমূহের অনমনীয়তা।

মাত্রা ও ব্যবহার বিধিঃ
ট্যাবলেট : প্রাপ্ত বয়স্ক : ১-২ টি ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট।
শিশু (৬-১২ বছর) : আধা থেকে ১টি দিনে ৩-৪ বার।
সিরাপ এবং সাসপেনশন :শিশু (৩ মাসের নীচে) : ১০ মি.গ্রা. হিসাবে (জন্ডিস থাকলে ৫ মি.গ্রা. হিসাবে) দিনে ৩-৪ বার।৩ মাস - ১ বছরের নীচে : ১/২ থেকে ১ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
১-৫ বছর : ১-২ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
৬-১২ বছর : ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।প্রাপ্তবয়স্ক: ৪-৮ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
এক্স আর ট্যাবলেট : ২ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার।
সাপোজিটরি :৩ মাস- ১ বছরের নীচে : ৬০-১২০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।
১-৫ বছর : ১২৫-২৫০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।
৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য : ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।
প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশী বয়সের শিশুদের জন্য : ০.৫-১ গ্রাম দিনে ৪ বার।

পেডিয়াট্রিক ড্রপসঃ
শিশু : ৩ মাস বয়স পর্যন্ত : ০.৫ মি.লি. (৪০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।
৪-১১ মাস বয়স পর্যন্ত : ১ মি.লি. (৮০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।
১-২ বছর বয়স পর্যন্ত : ১.৫ মি.লি. (১২০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে নাঃ প্যারাসিটামলের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করা নিরাপদ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে হিমাটোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া, অগ্নাশয়ের প্রদাহ, চামড়ায় ফুসকুড়ি ও অন্যান্য এলার্জি দেখা দিতে পারে।

বাজার নামঃ
এইস, নাপা ৷

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...