জেনে নিন কলার খাওয়ার উপকারীতা





কলা হলো এমন একটি ফল যা স্বাদে অসামান্য হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টি মূল্যেও ভরপুর। লো প্রেশার মোকাবেলা কিংবা ক্যানসার প্রতিরোধ অথবা অ্যাজমা সারাতে কলার জুড়ি মেলা ভার। তাই আজকের আলোচনায় থাকছে কলার উপকারি গুন নিয়ে কথা ৷

হার্ট অ্যাটাকঃ কলার মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম সাধারণত হার্টের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ব্লাড প্রেশার লেভেলও ঠিক থাকে।

এনার্জি বাড়ায়ঃ কলার মধ্যে যেহেতু ক্যালোরি ভরপুর তাই এটি এনার্জি বুস্টার হিসাবেও কাজ করে। যেকোনো খেলোয়াড়রা কিংবা যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁরা খেলার মাঝে বা ব্যায়ামের মাঝে কলা খেয়ে থাকেন এনার্জি বাড়ানোর উদ্দেশে।

হজম ক্ষমতাঃ কলার মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি মানবদেহের পাচন ক্ষমতাকে উন্নত করে। তাই যাঁরা বদহজমের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য কলা খুব উপকারী।

ক্যানসার প্রতিরোধঃ কলার মধ্যে এমন অনেক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী। তাই সারা বিশ্বের চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার ওপর বিশেষ জোর দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হাঁপানি প্রতিরোধঃ কলার মধ্যে কিছু এমন অ্যান্টি অ্যালার্জিক উপাদান আছে যা হাঁপানি কমাতে বিশেষ উপকারী। তাই যাঁরা দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের নিয়মিত কলা খাওয়া উচিৎ ৷

মুড ঠিক রাখেঃ কলায় অ্যামাইনোজ অ্যাসিড আছে, যা স্ট্রেস কমাতে এবং মুড ভালো করে। মানসিক অবসাদে আক্রান্তদের জন্যও কলা ভালো কাজ দেয়।

সৌন্দর্য বাড়াতেঃ এখানেই শেষ নয়, কলা ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি কলার সাহায্যে বানানো মাস্ক মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি স্কিন ময়েশ্চারাইজের কাজও মেটে।

পুষ্টি উপাদানঃ একটি মাঝারি মাপের কলার পুষ্টিমূল্য প্রচুর। এতে থাকে ক্যালোরি (১০৫), ফ্যাট (০.৪ গ্রাম), সোডিয়াম (১.২ গ্রাম), পটাসিয়াম (৪২২.৪ মি.গ্রা), কার্বোহাইট্রেড (২৭ গ্রাম), প্রোটিন (১.৩ গ্রাম)।

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...